আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আসছে, ডিজাইনও সুন্দর—তবুও সাইট লোড হতে সময় নিচ্ছে?
সমস্যা হতে পারে কিছু অপ্রয়োজনীয় বা ভারী প্লাগইন, যেগুলো আপনার সাইটের গতি কমিয়ে দিচ্ছে অজান্তেই।
চলুন জেনে নিই কোন ৫ ধরনের প্লাগইন আপনার ওয়েবসাইটকে ধীর করে তোলে এবং এর বিকল্প কী হতে পারে।
উদাহরণ: Jetpack, HubSpot
এই ধরনের প্লাগইন অনেক ফিচার একসাথে নিয়ে আসে—সিকিউরিটি, পারফরম্যান্স, ব্যাকআপ, ইমেজ অপটিমাইজেশন ইত্যাদি।
আপনি হয়তো ব্যবহার করছেন একটি-দুইটি ফিচার, কিন্তু বাকি ফিচারগুলিও ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকে। এতে সার্ভারে অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং সাইট ধীর হয়ে যায়।
✅ বিকল্প: প্রত্যেক কাজের জন্য আলাদা হালকা প্লাগইন ব্যবহার করুন।
উদাহরণ: WP-Optimize, Advanced Database Cleaner
এই প্লাগইনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডেটাবেস ক্লিন করে, যা ভালো কাজ হলেও বারবার স্ক্যানের কারণে সার্ভার ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে লোডিং টাইম বেড়ে যায়।
✅ বিকল্প: Auto-clean বন্ধ করে মাসে ১–২ বার ম্যানুয়ালি ক্লিন করুন।
উদাহরণ: Elementor, Divi, WPBakery
অনেক সময় নতুন ব্যবহারকারীরা একসাথে একাধিক পেজ বিল্ডার ব্যবহার করেন। এতে প্রতিটির CSS ও JavaScript ফাইল একসাথে লোড হয়, যা সাইটকে ভারী করে ফেলে।
✅ বিকল্প: শুধু একটি Page Builder রাখুন এবং অন্যগুলো ডিলিট করে দিন।
উদাহরণ: AddThis, ShareThis, Facebook Chat Plugin
এই প্লাগইনগুলো বাইরের সোর্স থেকে স্ক্রিপ্ট লোড করে। ফলে সাইটের লোডিং টাইম বেড়ে যায় এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা খারাপ হয়।
✅ বিকল্প: Scriptless Social Sharing, বা কন্টাক্ট ফর্ম ব্যবহার করুন।
উদাহরণ: WP Statistics, Slimstat Analytics
এই প্লাগইনগুলো ভিজিটরের সব তথ্য আপনার সার্ভারে জমা করে রাখে। এতে সাইটে ট্রাফিক বাড়লে পারফরম্যান্স কমে যায়।
✅ বিকল্প: Google Analytics ব্যবহার করুন। Site Kit by Google দিয়ে সহজেই যুক্ত করা যায়।
👉 অতিরিক্ত টিপস:
আপনার সাইট ধীর চলছে কিনা বুঝতে GTmetrix, PageSpeed Insights বা Query Monitor ব্যবহার করুন।
মনে রাখবেন, ওয়েবসাইট শুধু ডিজাইন দিয়ে চলে না—গতি একটা বড় বিষয়।
আজই চেক করুন, আপনার সাইটে এই সমস্যাগুলো আছে কি না!