অপারেটিং সিস্টেম কি? - Web Hosting, Web Design, Domain Registration & VPS in Bangladesh

অপারেটিং সিস্টেম কি?

অপারেটিং সিস্টেম হলো সফ্টওয়্যার যা একটি কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত হয় এবং ব্যবহারকারীদের কাছে সেটির প্রয়োজনীয় সেবাগুলি প্রভাইড করে। এটি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার রিসোর্স যথা প্রসেসর, মেমোরি, ডিস্ক ড্রাইভ ইত্যাদি পরিচালনা করে এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস প্রদান করে যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই অ্যাপ্লিকেশন চালাতে পারেন। অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে পরিচিত উদাহরণ হল Windows, macOS, Linux, Unix ইত্যাদি। অপারেটিং সিস্টেম বিভিন্ন কাজ করে,যেমন; মেমোরি ম্যানেজমেন্ট, ফাইল পরিচালনা, প্রোসেস ম্যানেজমেন্ট, নেটওয়ার্ক যোগাযোগ ইত্যাদি। সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করলে, এটি একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে যা কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের ও অন্যান্য সফ্টওয়্যার প্রোগ্রামগুলির অংশ হিসেবে কাজ করে।

অপারেটিং সিস্টেম এর কাজ কি?

অপারেটিং সিস্টেম এর কাজ কি?

অপারেটিং সিস্টেম এর কাজ কি?

অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান কাজ হলো কম্পিউটারের সমস্ত রিসোর্স ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ করা। সার্ভারে একটি কম্পিউটারের ক্ষেত্রে অপারেটিং সিস্টেম একটি মূলস্তরের সফটওয়্যার হিসাবে কাজ করে এবং ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন সেবা প্রভাইড করে, যেমন ডেটা স্টোরেজ, নেটওয়ার্ক কমিউনিকেশন, সার্ভার অ্যাপ্লিকেশনসমূহ চালানো ইত্যাদি। এটি নিম্নলিখিত কাজগুলি করে:

হার্ডওয়্যার সম্পর্কিত ব্যবস্থা: অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার সম্পর্কে তথ্য সংরক্ষণ, সংযোগ, এবং অন্যান্য পরিচালনা সম্পর্কিত কাজ করে। এটি হার্ডডিস্ক, র‌্যাম, প্রসেসর, প্রিন্টার, স্ক্রিন, কীবোর্ড, মাউস, নেটওয়ার্ক কার্ড ইত্যাদির পরিচালনা করে।

সফটওয়্যার প্রোগ্রাম পরিচালনা: অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার প্রোগ্রামগুলি চালানোর জন্য প্লেস প্রদান করে। এটি সফটওয়্যার প্রোগ্রামগুলির মধ্যে প্রয়োজনীয় সমস্ত সংযোগ নিশ্চিত করে।

স্টোরেজ ব্যবস্থাপনা: অপারেটিং সিস্টেম ডেটা এবং অন্যান্য ফাইলগুলির জন্য স্পেস প্রদান করে এবং সংরক্ষণ করে। এটি ফাইল সিস্টেমের মাধ্যমে ডেটা সংরক্ষণ করে এবং আবশ্যিক সেবা প্রদান করে, যেমন ফাইল ডিলিট করা বা মুছে ফেলা, মুভ করা বা সরানো এবং নতুন ফাইল তৈরি করা।

নেটওয়ার্ক সংযোগ: অপারেটিং সিস্টেম নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্যান্য কম্পিউটার বা ডিভাইসের সাথে সংযোগ করতে সাহায্য করে। এটি ইন্টারনেট, লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (LAN), ওয়াইফাই (Wi-Fi), ব্লুটুথ, ইথারনেট ইত্যাদির মাধ্যমে নেটওয়ার্ক সংযোগ প্রদান করে।

ইন্টারফেস প্রদান: অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের সাথে ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস প্রদান করে, যাতে তারা কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন। এটি গ্রাফিকাল ব্যবহারকারী ইন্টারফেস (GUI), টেক্সট ইন্টারফেস, মেনু সিস্টেম এবং অন্যান্য ইন্টারফেস প্রদান করতে পারে।

সিকিউরিটি এবং নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ: অপারেটিং সিস্টেম নেটওয়ার্ক সংযোগ প্রদান করে এবং বিভিন্ন নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি প্রোটোকল প্রয়োগ করে ব্যবহারকারীদের ডাটা সুরক্ষিত রেখে থাকে।

 আরো জানুনঃ RDP কি?

অপারেটিং সিস্টেমের প্রকারভেদ

অপারেটিং সিস্টেমের প্রকারভেদ

অপারেটিং সিস্টেমের প্রকারভেদ

অপারেটিং সিস্টেমের প্রকারভেদ রয়েছে, যা হল:

সিঙ্গল প্রোসেস সিস্টেম: এই প্রকারের অপারেটিং সিস্টেম একটি কম্পিউটার সিস্টেমে একটি প্রোসেস কে একাধিক প্রোসেস এর মধ্যে অবস্থান করতে দেয় না। এটি সবচেয়ে প্রাচীন প্রকারের অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে পরিচিত।

মাল্টি প্রোসেস সিস্টেম: এই প্রকারের অপারেটিং সিস্টেমে একাধিক প্রোসেস সময়ে চলতে পারে এবং তাদের মধ্যে সময়ের নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই ধরণের অপারেটিং সিস্টেম বৈশিষ্ট্যমূলকভাবে উচ্চ কর্মক্ষমতা সাপ্লাই করে।

টাইম শেয়ারিং সিস্টেম: এই প্রকারের অপারেটিং সিস্টেম মাল্টি প্রোসেস সিস্টেমের একটি ধরণ, যেখানে প্রোসেস গুলির মধ্যে সময়ের মেসেজ করা হয়। প্রোসেসগুলি সময়ের সেগুলিকে অনুপাতিত করে সময়ে চালিয়ে যাওয়া হয়।

রিয়েল-টাইম সিস্টেম: এই প্রকারের অপারেটিং সিস্টেম প্রোসেসের প্রয়োজনীয় সময় সীমানা নির্ধারণ করে এবং প্রোসেসগুলি সঠিক সময়ে সঠিক প্রতিক্রিয়া দেওয়ার জন্য নির্ধারিত করা হয়। এই প্রকারের সিস্টেম বিশেষভাবে স্থায়ী এবং সামগ্রিক সময়ের পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে।

ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেম: এই প্রকারের অপারেটিং সিস্টেমে কম্পিউটার সাধারণত পরস্পরে যুক্ত হয়ে থাকে এবং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তথ্য এবং সম্পাদনা করে। এই প্রকারের সিস্টেম কম্পিউটার ক্লাস্টার, গ্রিড কম্পিউটিং এবং ওয়েব সার্ভারের রূপে দেখা যায়।

মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম: এই প্রকারের সিস্টেম মোবাইল ডিভাইসে চলার জন্য তৈরি করা হয়, যেমন স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ইত্যাদি। উদাহরণস্বরূপ Android, iOS এবং Windows Phone মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে পরিচিত।

আরো জানুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

জনপ্রিয় কিছু অপারেটিং সিস্টেম

জনপ্রিয় কিছু অপারেটিং সিস্টেম

জনপ্রিয় কিছু অপারেটিং সিস্টেম

কিছু জনপ্রিয় এবং ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেমগুলো হল:

Microsoft Windows: মাইক্রোসফট উইন্ডোজ সবচেয়ে জনপ্রিয় ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমের একটি। উইন্ডোজ এর বিভিন্ন ভার্সন রয়েছে, যেমন Windows 11, Windows 10, Windows 7, Windows XP ইত্যাদি।

macOS: ম্যাকওএস আপেল কম্পিউটারের ডিভাইসের জন্য তৈরি হয়েছে এবং এটি বিশেষভাবে ম্যাকিন্টোশ কম্পিউটারের জন্য পরিচিত। macOS-এর প্রধান বিশেষত্ব হলো এটি Apple হার্ডওয়্যার সাথে সমন্বয় করা হয়েছে।

Linux: লিনাক্স একটি ওপেন সোর্স এবং মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম এবং এটি বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউশনে অ্যাভেইলেবল, যেমন Ubuntu, Fedora, Debian, CentOS, Arch Linux ইত্যাদি।

Android: এটি Google দ্বারা তৈরি করা মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, যা ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং অন্যান্য মোবাইল ডিভাইসে চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।

iOS: এটি Apple ডিভাইস যেমন iPhone, iPad, iPod Touch ইত্যাদির জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি Apple কোম্পানির উইন্ডোজ সিস্টেম হিসাবে পরিচিত।

অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে শেষকথা হলো এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটিং প্রযুক্তি, যা সবগুলো কম্পিউটার সিস্টেমের মৌলিক অংশ। এটি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে মধ্যস্থতা করে এবং ব্যবহারকারীর সাথে সংযোগ করে। অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান লক্ষ্য হলো কম্পিউটার রিসোর্স ব্যবহার করতে সহায়তা করা, সাথে সাথে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সুবিধাজনক ইন্টারফেস প্রদান করা। এটি কম্পিউটারের প্রয়োজনীয় কাজের ক্রমাগত সম্পাদনা নিশ্চিত করতে সহায়ক। এর মাধ্যমে প্রোগ্রামগুলি এবং ব্যবহারকারীর ইনপুটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর প্রয়োজনীয় কাজ করা হয়। সুতরাং, অপারেটিং সিস্টেম একটি কম্পিউটার সিস্টেমের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এর কার্যকারিতা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে। অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে আরোও বিস্তারিত জানার জন্য এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।

 

সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষনেঃ সাইবার ডেভলোপার বিডি ২০১২-২০২৪